Tuesday 12 July 2022

দর্পণা গঙ্গোপাধ্যায়ের গুচ্ছ কবিতা --

দর্পণা গঙ্গোপাধ্যায়ের গুচ্ছ কবিতা --

চেনা

চেনা চেনা মুখ আসে কালো মেঘের গায়
অচেনা মানুষের ভিড়ে হারিয়ে খুঁজি তায়
স্বার্থপরতা বাসা বাঁধে ভগ্ন দেউল জুড়ে
ভালোবাসা লুকিয়ে রাখি পদ্মপাতায় মুড়ে

পরজিত মানুষ গোপনে কান্না লুকিয়ে লড়ে
জয়ী মানুষের জয়ের ছায়া দীর্ঘ হয়ে পড়ে।।


রাতের কথা


অনেক রাতের নিদ্রাহীন  যন্ত্রনা
 ছেয়ে থাকে মননে,
কালো আকাশ তারার আড়ালে 
মুখ লুকোয় গোপনে,
উথাল পাথাল জলরাশি
 গর্জন করে,ডাকে ...
ডুবে যাই স্মৃতির অতল গহ্বরে, 
তলিয়ে যেতে যেতে
দেখি 
অন্ধকারে  জীবন্ত এক মুখ,
মুক্তোর মতো সাদা ধবধবে
তাকে নিয়ে বেঁচে আছি,
বলি, আমায় ডুবাইলি রে...।।


শীতল পাটি


গরম কালের ভর দুপুরে
শীতল পাটি পেতে
দুঃখী মেয়ে স্বপ্ন‌ আঁকে
পান্ত খেতে খেতে।

বর আসবে ঘোড়ায় চড়ে
লাগাম কষে হাতে।
বিয়ে করে নিয়ে যাবে
অগাধ গভীর রাতে।

সুখের ঘরে যাবো আমি
শীতল পাটি নিয়ে,
নতুন দিনের আলো মেখে
ধন্য হবে বিয়ে।

ফুল শয্যার সোহাগ রাতে
শয্যা শীতল পাটি
সবাই যখন ঘুমিয়ে যাবে
ছুঁইয়ো সোনার কাঠি।

রূপালী রূপকথা

পূর্ণিমার এক আকাশ জ্যোৎস্নায়---
দু'হাত দিয়ে চাঁদ ধরতে চায়
রূপালী আকাশ ...
ঝিলের জলে ঝিলমিল,
 নিস্তব্ধতা 
কাশবনে সাদা চাদর মুড়ে
 রূপকথা !
অশরীরী আত্মার বিরহ 
মোহমাখা---
 চুপ করে বসে অনুভব হয় উজ্জল 
স্মৃতিরেখা !
বাতাসে মিষ্টি সুর শুনতে শুনতে ,
ঘুম এসে যায় ---
কাশফুলে দোলা লাগে...
 রুপালি রূপকথা !

সম্পাদকের কলমে--

সম্পাদকের কলমে--

রিমঝিম বর্ষা, নাকি ইট ইজ রেনিং অ্যাট ক্যাটস এন্ড ডগস ? এক দিকে প্রেমিক-প্রেমিকা ঝিরিঝিরি বর্ষায় ভিজে প্রেম করছে, অন্যদিকে মেঘ ফাটা প্রচন্ড বর্ষণে কত না লোক ভেসে গেল ! প্লাবনের ভয়াবহ তোড়ে ভেসে গেল অসংখ্য জনপদ, কত লোকের না  মৃত্যু হল। 
বৈচিত্র্যময় দেশের একদিকে কাঠফাটা রোদ, অন্যদিকে ভেসে যাচ্ছে দেশ, আবার তৃতীয় দিশায় জমাট বরফ, শীত কাঁপে জমে যাচ্ছে মানুষ। তবু কেউ থেমে যায়নি, সময়ের সাথে সবাই হেঁটে যাচ্ছে, সবাই দুঃখের মাঝখান থেকে সুখটুকু শুষে নেবার চেষ্টা করছে। লেখক লিখে যাচ্ছেন, কৃষক মাঠে  নাঙ্গল নিয়ে নেমেছে, সব চলছে। আবার যে শেষে, সে নিশ্চিহ্ন। মৃতের ওপর একদিন আবার সবুজ ঘাস জন্মায়, অনুর্বর সৃষ্টির মাঝে আবার ফুল ফুটে উঠে। এটাই জীবন, এটাই বদ্ধভূমি, এটাই কবিতার উর্বর ভূমি। মৃত্যু শিয়রে রেখে কবি তার আগামীর কবি ভাবনায় আতুর হয়ে ওঠে। কাগজ-কলমের অভাবে কত ভাব ভাবনা কবিতার জীবন দেখো হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে...আমরা কেউ তার ঠিকানা রাখি না।
যাই হোক, এবারের কবিতার ব্লগ ও ই-পত্রিকা, স্বরধ্বনি, নিয়ম ভেঙে পাঁচ দিন বিলম্বে প্রকাশিত হল। অবশ্যই এটা অনিবার্য কারণবশত। আজ এ পর্যন্ত। নিবেদন ইতি -- তাপসকিরণ রায়।

সহ-সম্পাদকের কলমে--

বৈচিত্র্যময়ী প্রকৃতির অপরূপ লীলা নিকেতন এই পৃথিবী। সমৃদ্ধির এক আশ্চর্য ভাণ্ডার তার করায়ত্ত, সেই সম্পদের সুষ্ঠ বিন্যাসের ফলেই প্রকৃতি হয়ে ওঠে  অপরূপা, কত না রহস্য ফুটে ওঠে তার অপূর্ব  লীলায়। লীলায়িত ভঙ্গিমায় ছন্দময়ী প্রকৃতি  বসন্তে মেতে ওঠে বর্ণময় ফুলের সম্ভার নিয়ে ,ঘনঘোর বর্ষার অঝোর ধারায় মানুষের অশান্ত মন  যখন উতল হয়ে ওঠে, অন্তরের মাঝে দয়িতের আহ্বান শুনে হয় চঞ্চল।  প্রকৃতিও  তখন সজল কাজল মেঘের ঘোমটা দিয়ে নিজেকে মুড়ে নেয় রহস্যের আবরণে।সে রহস্যময়তার হাতছানি এড়াতে পারেনা বলেই মানব মন হয়ে ওঠে বিরহ-কাতর , বিরহী মনের স্বতস্ফূর্ত প্রকাশ ঘটে গানে, কবিতায়।--সাবিত্রী দাস।

দেবতা নির্বিকার হারান চন্দ্র মিস্ত্রী

দেবতা নির্বিকার    
হারান চন্দ্র মিস্ত্রী 

আমি আহাম্মক নই।
তোমাকে বলেছি আমি, তুমি দেবী?
নিশ্চয় তোমার কিছু গুন আছে।
সেই অপুর্ব গুণের জন্য আমি তোমাকে সম্মান করি।

তোমার অনেক অন্ধ ভক্ত আছে।
তোমার ভিতরে দেবত্ব লাগিয়ে 
ভক্ত হতে চায় তারা, 
হতে চায় তোমার পূজারী। 
তার মন্দিরে থাকবে তুমি মাটির প্রতিমা হয়ে। 

লেগেছে ভক্তের আনাগোনা 
ভিড় মন্দির চত্বরে ঠাসা, 
প্রসাদ আসছে থালা ভরে, সুশীলা দক্ষিণা সাথে। 
আমি চমকিত তার দারুণ অতিথ্যে। 

পূজারী পয়সা পায়, সোনার গহনা পাও তুমি- 
তুমি নও তোমার প্রতিমা। 
এসব সম্পদ পূজারীর প্রাপ্য চিরকাল। 
পূজারী হয়েছে ধনবান। 
খাটে যে জোটে তার দেবতার ধন। 
দেবতা সবেতে নির্বিকার। 
ঠিক তেমনি তুমিও দেবী।
______________

***হারান চন্দ্র মিস্ত্রী 
পিতা-সহদেব মিস্ত্রী
মাতা-ছায়া মিস্ত্রী
জন্ম-17ই মার্চ 1970, 
জন্মস্থান ও ঠিকানা-গ্রাম-আমতলা, পো:-আমতলা, থানা-ক্যানিং, জেলা-দক্ষিণ 24 পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ
শিক্ষা-1991 সালে ট্যাংরাখালী বঙ্কিম সরদার কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন।
পেশা-প্রাথমিক শিক্ষক 
সাহিত্য কর্ম- 1990 সালে কলেজ পত্রিকায় প্রথম গল্প "শিকার"প্রকাশ পায়। 2002 খ্রিস্টাব্দে "এবং প্রিয়শিল্প" পত্রিকায় প্রথম কবিতা "অর্পণ" প্রকাশ পায়। প্রথম প্রকাশিত ছড়ার বই "ছড়ার আকাশ" প্রকাশ পায় 2010 খ্রিস্টাব্দে। দ্বিতীয় ছড়ার বই "ছড়ার পাতা" প্রকাশিত হয় 2011 সালে। 2012 খ্রিস্টাব্দে ইন্সটিটিউট অফ যোগা তন্ত্র অ্যাস্টোলজিক্যাল স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার তাকে "কবিতা সুধাকর" সম্মান প্রদান করে। 

Friday 8 July 2022

পাখির চঞ্চু থেকে-- তাপসকিরণ রায়

পাখির চঞ্চু থেকে-- তাপসকিরণ রায়

পাখির চঞ্চু থেকে কখন যে সে বীজ গড়িয়ে গেছে... 

মাটিতে আলোকে ছায়াতে 

মূর্ছিত সে সংলাপ থেকে উগলে উঠছিল কিছু আন্তরিক অনুভূতি। 

এক গর্ভীনী মার শরীর থেকে বিদ্যুত চমকে উঠছিল, 

তলে তলে কৃষ্ণ বুঝি জন্ম নিচ্ছিলো--কংস তখন নিদ্রামগ্ন, 

বন্দী গরাদের ছিদ্র দিয়ে অনুগামী চাঁদ উঠে আসছিল। 

অন্য দিকে পুরুষ অন্তরে একই কংস কিংবা রাবণ। 

শরীর কখনো জীয়ে ওঠে, ঠেলে ওঠে সব কামজ হিংস্রতার পাংখ, 

সেখানেই পড়ে থাকে পাখ-পাখালিচিহ্ন। 

সনাক্তের ময়দানে আগামী চরিত্রগুলি গজিয়ে ওঠে-- 

সেই রাম সীতা ও রাবণের মাঝখান দিয়ে। 

Thursday 7 July 2022

মুহা আকমাল হোসেনের কবিতা

মুহা আকমাল হোসেনের কবিতা --

অন লাইনে স্বপ্ন কিনি


একটা নিঃঘুম রাত

বালিশে থুতনি রেখে অন লাইনে স্বপ্ন কেনে।


শহর ঘুমাচ্ছে 

দাম্পত্যের এলোমেলো বিছানা

আমরা তারাফুল কুড়তে যাব

সাত বোন চম্পার সাথে..



তোর জন্য 


 তোর জন্য  একটা  বিকেল উষ্ণ হয় মাটির ভাড়ে

তোর জন্য হরিণ বিকেল চরতে আসে নদীরপাড়ে।


তোর জন্য  আর্ট পেপারে বর্ষা বিকেল  বন ময়ূরী

তোর জন্য  বেহেশত হারাম, ও সখি তন্বী হুরি।







মুহা.আকমাল হোসেন।জন্ম ২ রা জানুয়ারি-১৯৮১।গ্রাম ব্রহ্মোত্তর,পোষ্ট -ছোটসুজাপুর,  জেলা- মালদহ।পেশায়  শিক্ষক । ঐতিহ্যবাহী  দেশ, প্রথম সারির দৈনিক সহ'  দু'শতাধিক ছোট পত্র পত্রিকায় লিখে  চলেছেন।।কবিতার ভাষান্তর  হয়েছে।    প্রকাশিত- কাব্যগ্রন্থ - বিস্রস্ত বাস্তবতা( ২০০৮), প্রেম,প্রিয়াপুষ্প ও পড়ন্ত বিকেল,(২০১০) কমরেডের ডাইরি (বুদ্ধ পূর্নিমা-১৪১৮), মিনার হোসেনের ঘর উঠোন, (২০১২) ভাতের ঠিকানায় কাঁদে ভারতবর্ষ(২০১২  ১০,জানুয়ারি)  পৃথিবীর একলা কমন রুম(২০১৫)  ছেঁড়া কাফনের মেঘ (৭ ফেব্রুয়ারী  ২০২১)  "হামরা কলিয়াচকের লোক (২০২২)'সম্পাদিত গ্রন্থ -গ্রাম মালদা  কবিতা(২০১৩) |১৯৯৯ থেকে 'যত্রিক' কবিতা 7৭ সম্পাদনা করেন|  এছাড়া গৌড়বঙ্গ সাহিত্য পত্রিকা' 'নয়া কাফেলা' পত্রিকার সহ সম্পাদক। 


আমায় দোষ দিওনা-- উত্তম চক্রবর্তী, ব্যাঙ্গালোর

আমায় দোষ দিওনা--

উত্তম চক্রবর্তী, ব্যাঙ্গালোর



     আমি যদি বদলে গিয়ে 

     মেঘ হয়ে ভাসতে ভাসতে 

     আকাশটাকে ভেঙে টুকরো টুকরো 

     করতে করতে ঢাক ঢোল বাজিয়ে 

     বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ি,

     আমায় দোষ দিওনা.

 

      আমি যদি বদলে গিয়ে 

      মরুভূমি হয়ে হা পিত্যেশ করে

      সারাদিন রোদ্দুর গিলে 

      বসে থাকি উটের পায়ের 

      খোঁচার জন্য,

      আমায় দোষ দিওনা.

 

     আমি যদি বদলে গিয়ে 

     একটা রূপার টাকা হয়ে

     ঘুরে ঘুরে ফিরি লোকের 

     নোংরা হাতে হাতে,

     আমায় দোষ দিওনা .

 

     আমি যদি বদলে গিয়ে 

     আমার কলমে কবিতার বদলে 

     ঝরাই নোনতা লাল রক্ত,

     আমায় দোষ দিওনা.

          ---------x---------- 

গোবিন্দ মোদকের দুটি কবিতা

গোবিন্দ মোদকের দুটি কবিতা --

১. এভাবেও মুছে যাওয়া যায়

এভাবেও মুছে যাওয়া যায় -
হঠাৎ বৃষ্টি এলে শ্লেটের লেখার মতো, 
যাপিত জীবন জুড়ে থেকে যায় জলদাগ, 
আঁকিবুকি, এলোমেলো ঢেউয়ের সাতকাহন, 
বিষাদের বনমালী আর দীর্ঘনিঃশ্বাস ....
তবু ঘুঁচে যায় নিদাঘের মাখামাখি,
বহু ব্যবহৃত পোশাক পাল্টানোর সহর্ষ মুহূর্ত ... 
এভাবেও মুছে যাওয়া যায়!

#

এভাবেও মুছে যাওয়া যায় -
ক্যালেন্ডারের পাতা বদলের আশ্চর্য সময় 
যেমন ইতিহাস হয়ে যায় অবহেলে; 
কতো রাজা রানী মন্ত্রী যন্ত্রী 
মুছে যায় সময়ের ষড়যন্ত্রে -
দলিল-দস্তাবেজ মরচে-ধরা কথকতার মতো 
মহাফেজখানা গড়ে। তবু ডানা মেলে 
কাঙ্খিত মুহূর্ত আর ফিরে আসে না। বড়ো অসময়।
এভাবেও মুছে যাওয়া যায়!

#

এভাবেও মুছে যাওয়া যায় -
ঝরে যাওয়া শাল পলাশের ক্লান্ত ফুলের মতো, 
অপ্রয়োজনীয় চিঠিপত্র কিংবা ফালতু গল্পের মতো, 
রাত-ইতিহাস মনে রাখে না বিকেলের আয়োজন, 
প্রদীপ জ্বালানোর আগে থাকে ঢের প্রস্তুতি ...
প্রবাসে যাওয়ার আগে কতো অশ্রুজল ...
না লেখা গল্পের শিরোনাম ভুল হয়ে যায় ...
বিস্মৃতি আসে বাতাসের বাঁশিতে ...
এভাবেও মুছে যাওয়া যায়!


এভাবেও মুছে যাওয়া যায় -
আর্যাবর্ত জুড়ে রাজত্ব চালায় শক-হূণ-পাঠান, 
মঙ্গোল অথবা থোড়-বড়ি-খাড়া...
ভেঙে পড়ে রাজচ্ছত্র কালের নিয়মে ...
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় অকারণ পোড়ে 
কোনও এক সম্রাটের অকারণ আক্রোশে ...
সভ্যতা-সংস্কৃতি মুখ লুকায় ব্যভিচারের অন্তরালে, 
এভাবেও মুছে যাওয়া যায়!!


২. গ্রামের হাট 


আজও আছে গ্রামের হাট, আছে লেনাদেনা, 
জোরকদমে চলে আজও জিনিস বেচাকেনা। 
রাস্তার পাশে, নদীর ধারে, রেলস্টেশনের ধারে, 
গ্রাম-গঞ্জের প্রাচীন সে হাট বসে বুধ বারে । 
হাঁস-মুরগি, মাছ কিংবা নানান সবজি কাঁচা, 
নেইকো হাটে স্থায়ী দোকান সবই বাঁশের মাচা। 
শাড়ি-লুঙ্গি, অল্প দামের রেডিমেড-ও নানা, 
দা, খুরপি, বেলুন-পিঁড়ি কিনতে নেইকো মানা।
মাটির পাত্র, হাঁড়ি-কলসি কিংবা মনোহারী, 
হাটে গেলে মিলবে গো ভাই নানান দরকারী। 
ফেরিওয়ালার বিচিত্র হাঁক, নানা রকম পণ্য, 
ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম বেচাকেনার জন্য। 
ইঁদুর মারা বিষ কিংবা প্লাস্টিকের সব খেলনা, 
হাটে পাবে বাঁশের ঝুড়ি কিংবা বেতের দোলনা। 
কবিরাজি ওষুধ আর বাতের নানান তেল,
মশলাপাতি, ফলের দোকান, ডাব নারকেল।
হাঁকাহাঁকি – দরাদরি – জিনিস চেনা-চিনি,
মুখটা জুড়ে চওড়া হাসি লাভটা পেলেন যিনি। 
গ্রামীণ জীবন জুড়ে থাকে সপ্তাহের এই হাট, 
হাট ফুরালেই অন্ধকারে একলা জাগে মাঠ।।



***লেখক পরিচিতি :-

গোবিন্দ মোদক। 
সম্পাদক: কথা কোলাজ সাহিত্য পত্রিকা। 
পিতা: কানাই লাল মোদক। 
মাতা: প্রতিভা রাণী মোদক। 
লেখকের জন্ম: ৫-ই জানুয়ারি, ১৯৬৭ 
বাসস্থান: রাধানগর, কৃষ্ণনগর, নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ। ডাক সূচক- 741103 
মুঠোফোন নম্বর- 7044404333
শিক্ষাগত যোগ্যতা: M.Com (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়)।  
পেশা: প্রথম জীবনে অধ্যাপনা, পরবর্তীতে India Post (ডাক বিভাগ)-এ কর্মরত।
নেশা: লেখালিখি। বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র হওয়া সত্বেও ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি ঐকান্তিক অনুরাগে হাতে তুলে নিয়েছেন কলম। ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, রম্য রচনা, উপন্যাস ইত্যাদি লিখলেও ছোটদের জন্য ছড়া-কবিতা ও গল্প লেখার মধ্যেই খুঁজে পান অধিকতর তৃপ্তি। প্রচারবিমুখ আত্মমগ্ন এই মানুষটি লেখালিখি ছাড়াও ভালোবাসেন: বই পড়া, গান শোনা, পত্রিকা সম্পাদনা, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা, বেড়ানো, সাহিত্য বিষয়ক নির্ভেজাল আড্ডা, এলোমেলো ভাবনায় নিমগ্ন হওয়া। 
অপছন্দের বিষয়: যে কোনও ধরনের রাজনীতি। 
প্রথম লেখালিখি: প্রথম কবিতা "প্রেম" প্রকাশিত হয় শারদীয়া অভিষেক (১৯৮৯) পত্রিকায়। প্রথম গল্প ছাপা হয় তটরেখা পত্রিকায় (হরিপদ'র গল্প) ১৯৮৯ সালে। প্রথম কিশোর উপন্যাস "গুপ্তধনের খোঁজে" প্রকাশিত হয়েছে ১৯৮৯ সালে শারদীয় "আসানসোল হিতৈষী" পত্রিকায়। লেখালেখির সেই প্রবাহ এখনও ভীষণভাবেই বহমান … নানা ধরণের লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে চলেছে দেশ ও বিদেশের অজস্র পত্র-পত্রিকা ও দৈনিকে।
প্রকাশিত গ্রন্থ: হারিয়ে গেছে ডাক-বাক্স, ধিতাং ধিতাং বোলে, অদ্ভুত যতো ভূতের গল্প।
প্রকাশিতব্য গ্রন্থ: পদ্য ভরা আমার ছড়া, ছন্দ ভরা আমার ছড়া, রূপকথার রূপ ও কথা, ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ, গুপ্তধনের সন্ধানে, জীবনের রোদ-রং ইত্যাদি।
সম্মাননা: পাঠকের ভালোলাগা এবং ভালোবাসা-ই সবচেয়ে বড় পুরস্কার।

দর্পণা গঙ্গোপাধ্যায়ের গুচ্ছ কবিতা --

দর্পণা গঙ্গোপাধ্যায়ের গুচ্ছ কবিতা -- চেনা চেনা চেনা মুখ আসে কালো মেঘের গায় অচেনা মানুষের ভিড়ে হারিয়ে খুঁজি তায় স্বার্থপরতা ব...