হারান চন্দ্র মিস্ত্রী
আমি আহাম্মক নই।
তোমাকে বলেছি আমি, তুমি দেবী?
নিশ্চয় তোমার কিছু গুন আছে।
সেই অপুর্ব গুণের জন্য আমি তোমাকে সম্মান করি।
তোমার অনেক অন্ধ ভক্ত আছে।
তোমার ভিতরে দেবত্ব লাগিয়ে
ভক্ত হতে চায় তারা,
হতে চায় তোমার পূজারী।
তার মন্দিরে থাকবে তুমি মাটির প্রতিমা হয়ে।
লেগেছে ভক্তের আনাগোনা
ভিড় মন্দির চত্বরে ঠাসা,
প্রসাদ আসছে থালা ভরে, সুশীলা দক্ষিণা সাথে।
আমি চমকিত তার দারুণ অতিথ্যে।
পূজারী পয়সা পায়, সোনার গহনা পাও তুমি-
তুমি নও তোমার প্রতিমা।
এসব সম্পদ পূজারীর প্রাপ্য চিরকাল।
পূজারী হয়েছে ধনবান।
খাটে যে জোটে তার দেবতার ধন।
দেবতা সবেতে নির্বিকার।
ঠিক তেমনি তুমিও দেবী।
______________
***হারান চন্দ্র মিস্ত্রী
পিতা-সহদেব মিস্ত্রী
মাতা-ছায়া মিস্ত্রী
জন্ম-17ই মার্চ 1970,
জন্মস্থান ও ঠিকানা-গ্রাম-আমতলা, পো:-আমতলা, থানা-ক্যানিং, জেলা-দক্ষিণ 24 পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ
শিক্ষা-1991 সালে ট্যাংরাখালী বঙ্কিম সরদার কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন।
পেশা-প্রাথমিক শিক্ষক
সাহিত্য কর্ম- 1990 সালে কলেজ পত্রিকায় প্রথম গল্প "শিকার"প্রকাশ পায়। 2002 খ্রিস্টাব্দে "এবং প্রিয়শিল্প" পত্রিকায় প্রথম কবিতা "অর্পণ" প্রকাশ পায়। প্রথম প্রকাশিত ছড়ার বই "ছড়ার আকাশ" প্রকাশ পায় 2010 খ্রিস্টাব্দে। দ্বিতীয় ছড়ার বই "ছড়ার পাতা" প্রকাশিত হয় 2011 সালে। 2012 খ্রিস্টাব্দে ইন্সটিটিউট অফ যোগা তন্ত্র অ্যাস্টোলজিক্যাল স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার তাকে "কবিতা সুধাকর" সম্মান প্রদান করে।
No comments:
Post a Comment