রূপা বাড়ৈ
খেয়ালি সুপ্ত মন বসে আনমনে সৃষ্টির রূপ দেখে
অস্তিত্ব জুড়ে ব্যথার কান্না ঝরে লোনাজল মেখে,
নিশাচর পাখির নিদ্রা ভঙ্গ হয় ঝিঁঝি পোকার ডাকে
বিষণ্ণ মন ম্লান হাসি ঝরায় জোছনা আলো মেখে।
পাতার শব্দে নীরবতা ভেঙে থাকে মন ঠায় দাঁড়িয়ে
নিস্তব্ধ হিরন্ময় ঝাপসা চাঁদ দেখে চপল প্রেম থামিয়ে,
বিফল স্মৃতির শিশির কণা ঝরে শংকিত ব্যথার ভারে
প্রস্ফূটিত চাঁদ নিজ যোগ্যতায় পৌঁছিবে উন্মুক্ত দ্বারে।
মহাশূন্যে প্রাণীর প্রত্যাবর্তন শুনে কম্পিত স্তম্ভিত মন
নুয়ে পড়ে অনুভব ছুঁয়ে প্রগাঢ় বিস্মিত জীবন্ত ধ্যান,
পাহাড়ি মন বরফের জমাট বাঁধে কঠিন দিন শেষে
অপাংক্তেয়ের তরঙ্গ ওঠে কেঁপে গরল অলিন্দে বসে।
চিবুক নাড়িয়ে বাহুতে জড়িয়ে ফুপিয়ে কেঁদে উঠে
ছুঁড়ে ফেলো না উচ্ছিষ্ট ভেবে, বলে মন মিনতির কণ্ঠে,
সম্বিত ফেরে হাওয়ার দোল লেগে পরম নিঃশ্বাসে
বিনয়ের স্বরে ঠাঁই চায় নিয়তির চরণে পবিত্র বিশ্বাসে।
No comments:
Post a Comment