কবিতা১
নিহত রোদের সাথে
সবাই জানে রক্তপাতের কোন ব্যাকরণ হয় না,
প্রতিটা পাথরের গায়ে লেগে থাকা ফ্রয়েডীয়
অ্যাসিড স্রোত কখনও শুধুমাত্র একটা চোখের জন্ম দেয়।
আস্তে আস্তে ধাওয়া করে নিরীহ দাম্পত্য,
একটা শরীরের চারশত ক্ষতের ভিতর লুকিয়ে
থাকা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়বার হাহাকারেও
কেউ কেউ অন্ধ সাজে। সব জেনে ধৃতরাষ্ট্র হবার মাঝে
একটা গাণিতিক সুবিধা থাকে।
যেমন থাকে তেলের দামের সিঁড়ি অথবা
গুজবের প্রেমপত্র। এখন চুপ বলে শুধু
ডুব ছাড়া নিরুপায় সঙ্গমহীন রাত।
তবুও কোণে কোণে ভয়ের ধারপাত,
আমাদের কি কোন ছায়া থাকবে না?
কবিতা ২
যে দাগ জোর করে মোছা
সেদিনও মুছে দেওয়া হল কোল থেকে মৃতদেহ
ও পুড়ে যাওয়া, তারপর মুখ বন্ধ করে পেঁচা সঙ্গী জীবন।
এই যে অনন্ত উপত্যকা আকাশের কোণ ঘেঁষে
মেহগনি উথ্থান, তার পেছনে কত রক্তছাপ চাপা
পড়ে, কে দেখবে সেই ছাপোষা যন্ত্রণা?
মুখে তোলা ভাত বা রক্ত তেঁতো নাকি
রাখা আছে কোন রাজরঙে
আকাশের সময়ের ঘরে এখন কোষ্ঠকাল।
বীজমন্ত্রে বিষমাখা, বিকাল ছায়া রঙের পোষ্টকার্ড লেখে।
এর মাঝেই উপেক্ষার ইটের পাশে আশা মেখে অপেক্ষা।
জানা গেল একদিন ভোজবাজির আগে সব মুছে গেলেও
পোড়া দাগ রাখা থাকবে শরীর ক্যানভাসে।
কবিতা ৩
যেভাবে আমি গন্ধ
এই যে শুয়ে থাকার ভাঁজে ভাঁজে শ্যাওলা
উপত্যকা, তার থেকে সব কিছু আলাদা
সরিয়ে রাখবার কি কোন সমীকরণ থাকে?
জানা যাচ্ছে মুখ বন্ধ করে পাগলামি দেখার ভেতর
যে শিল্পবোধ তাকে মুছে দেবার কোন রহস্যময়
হাত নেই, উৎপাটনের একটা বাস্তব বুদ্ধি থাকে,
না হলে চাপা দিয়ে গরুখেলা বা ছড়ানো
ফসলেও লেগে থাকবে শুধু আমি গন্ধ।
No comments:
Post a Comment