তূয়া নূর
যখন তুমি বলো ‘ভালোবাসি তোমাকে’
তখন মনের অন্দরমহল ভরে আনন্দের ছটায়।
ভাবছো, মনের আবার অন্দরমহল!
গৃহস্থ বাড়ির অন্দরমহল ঘেরা থাকতো পাঁচিল দিয়ে
খিড়কি আটা দরজা পার হয়ে যেতো হতো ভেতরে
সবাই পারে না যেতে।
বাইরের মানুষের জন্য দহলিজ ঘর
বাইরের বারান্দা। সেখানে আলাপ,
মাদুর পেতে সতরঞ্চি খেলা,
নতুন আলু দিয়ে রান্না রুই মাছের ঝোল দিয়ে ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত,
খাওয়া দাওয়া, আলাপ-বিলাপ—
রাত্রি যাপন।
তারপর সেখান থেকে বিদায়।
তোমার একটা কথায় কেঁপে যায় সারা অন্দরমহল।
পোড়া উঠোন, মৃতপ্রায় পাটকাঠির পুঁইশাকের মাচান,
ধূলো পড়া রান্নাঘর,
পুকুর ঘাট, পুকুর পাড়ে কাঁঠাল গাছ—
রঙিন হয়ে ওঠে রংচটা জগত,
পাখি এসে বসে গাছে, শিস দেয়।
সারা মন হেসে ওঠে
গুন গুন করে গায় প্রিয় কোনো গান
চোখের কোণায় তারার আলো নাচে চিকমিক।
সেই অন্দরমহলের কথা কেউ জানে না।
কেউ পায় না টের।
এটা যেনো ছোটবেলার পুতুল খেলার বাক্সের মতো,
খুব যত্নে তুলে রাখা।
লুকানো, সবার চোখের আড়াল করে রাখা।
ঘরের ভেতর ঘর। কতোগুলো চৌকাঠ পার হয়ে
তার ভেতরে আরেকটা ঘর।
হঠাৎ ভরে ওঠে সেই ঘর অফুরন্ত আলো ও আনন্দে।
No comments:
Post a Comment