১ জীবন
তোমার হাতে এখনো তুলে দিই
পুরোনো সম্পর্ক
নাবাল ভূমিতে বৃষ্টির সুবাস। ভেজা ভেজা কৈশোর ।।
আমরা তখনো অবুঝ
আমরা তখনো কচি কচি সকালের রোদ্দুর ।।
আমরা তখনো মায়া
নিঃশব্দ প্রহর গুণি শূন্য প্রান্তরে
ছায়াডোবা জলে ভাসে শাণ বাঁধানো স্বপন ।।
চেতনার জাজিমে আঁকি প্রাচীন স্মৃতি
আমরা তখনো মৃত্যু দেখি নি। দেখেছি জীবন ।।
২ মিছিল
আকাশে সারি সারি মেঘ
দোঁআসলা জমিনে কার্তিক ফসলের ঘ্রাণ
প্রতিদিন কথা সাজাই ।।
শব্দের স্থাপত্যে আঁকি নস্যাৎ প্রহর
সড়কের ক্ষতে মিশে যায় স্পর্ধার উদ্বাস্তু শিবির
আমরা ইট কাঠ পাথরে জীবন কুড়োই ।।
খাদানে ডুবছে সূর্য
শিউলি সকাল
আমাদের আমলকি বনে ঘুঘু ডাকা বিকেল। চেতনায় সুকান্ত ।।
ক্ষরণের ইতিহাস পাল্টে যায়। বুকের ভেতর স্লোগান দেয় উদ্দীপ্ত মিছিল ।।
৩ আমার ভূবন
কখনো এমনও হয় ভুলে যাই সব
শিশুর মতো হাত পা ছুড়ি জলে ভাসে ভূবন ।।
মেহেদি বাগানে সারাদিন ক্ষুধার্ত কাকের কা কা
বুকের ভেতর পাথর
ভেঙে পড়ে সমস্ত স্বপ্ন। শহীদের গা বেয়ে নামে চাপ চাপ প্রত্যয় ।।
উঠোন জুড়ে খেজুর গাছের ছায়া
দুচোখে কান্না। হাসনাহানা বোঝে না কষ্টের অতলান্তিক ।।
তবু গাছেরা ঋতুমতী হয়
বোধি লাভ করে গৌতম বুদ্ধ
আমাদের কোঁচড়ে একুশ। হাঁটতে হাঁটতে আমরা পেরিয়ে যাচ্ছি খনিজ ভূবন। শিফন বাড়ি ।।
***পরিচিতি--
আমি হামিদুল ইসলাম। জন্ম 1955 সালের 5 মার্চ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত কুমারগঞ্জ ব্লকের ভোঁওর গ্রামে। শৈশব থেকেই সংসারে অভাব অনটন। ফলে মাতুলালয়ে গমন। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক। পরে আবার বাড়িতে ফিরে আসা। মানুষের লাথিগুড়ি খেয়ে বালুরঘাট কলেজ থেকে স্নাতক ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। দশমের ছাত্র থাকাকালীন স্কুল ম্যাগাজিনে প্রথম কবিতা প্রকাশ। পরে বিভিন্ন পত্র পত্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ। এ যাবৎ 9 টি একক কাব্যগ্রন্থ। 41 টি যৌথ কাব্য সঙ্কলন। 4 টি একক ই কাব্য। আছে অপ্রকাশিত নাটক ও উপন্যাস। প্রাঙ্গণ সাহিত্য পত্রিকা থেকে ' সাহিত্য রত্ন ও কবি সাগর ' সম্মাননায় সম্মানিত। এখন যবৎ বাঁচি তবৎ লিখি। লেখা আমার নেশা।
No comments:
Post a Comment