১ ফুলের সঙ্গে একান্তে
===========================
জানালার ঠিক সামনেই কাঞ্চন ফুলের গাছে
আগুনের মত ফুটে আছে ফুল
ওরা আমায় চেনে না আমাদের পরিচয় হয়নি কখনও
যদিও একে অন্যকে দেখেছি অনেক বার
যদিও একটা লম্বা আলোর তলোয়ার পাতা আর ফুলের ফাঁক দিয়ে ঠিক এসে পড়ে আমার চিবুকে
আমরা কেউ কাউকে আদর করিনি কখনও...
আগুনের রং লাল আর লাল আমার ভালো লাগে
ফুলের রং আগুন, আগুন আমার ভালো লাগে
একা যখনি তাকিয়ে থাকি লালকাঞ্চন ফুলের দিকে
জ্বলতে জ্বলতে ফুরিয়ে আসে আগুন উড়ে আসে
ছাই ঢাকা পড়ে যায় স্মৃতিময় সৌধের বাগান
শুধু লেগে থাকে রেশম পাতার রং...
আমি আবার আগুন চেয়ে থাকি
ফুল চেয়ে থাকি
আমার জানালার পাশে একা দাঁড়িয়ে আছে
আমার একলা সময়ের আগুন।
২ চলে গেলি সাধন
=======================
চলে যায় সবাই, যেতে হয় কখনো না কখনো
সময়ের সীমা সবাইকে যেতে হয় পার হয়ে
তাই বলে মাত্র চুয়াল্লিশে?
যে বয়সে 'বাবা' হল অন্য এক বন্ধু আমার
যে বয়সে 'চাকরি' পেল আরও কত বন্ধুরা
অথচ তুই চলে গেলি সেই সকালেই?
এত কী তাড়া ছিল? ছিল কত সময়-সংক্ষেপ?
চলে গেলি দুপুর গড়াবার আগেই ...
জানি এসব প্রশ্নের কোন উত্তর পাব না কখনও
এসব প্রশ্নের উত্তর হয়ও না হয়ত, তবু
বন্ধুতা আইন মানে না,
মানতে চায় না দিনের আলোর মত স্বচ্ছ সত্যিটাও,
তোর ছবির উপর চেপে বসা মালার ফুল গুলো
দুর্গন্ধময় ফাঁসির দড়ি
বিষধর সাপের মত জড়িয়ে থাকা ওই সব পুষ্পচিহ্ন
অসহ্য শত্রুর মত মনে হয়
ভুলে যাই, ওরাও চলে গেছে তোর মত অদৃশ্য গন্তব্যে
এবং ছিঁড়ে আর ছুঁড়ে ফেলতে চাই সব লৌকিকতা
স্মৃতিমেদুরতা,
কিন্তু চোখ পড়ে তোর মুখের উপর, চোখের উপর
খেলা করে যায় দুষ্টামি, সেই স্কুলবেলার মত
রক্ত জল হয়ে আসে,
মেরুদণ্ড ঝুঁকে পড়ে ধ্বস্ত গাছের মত
চারদিকে দিনের আলোর রং হয়ে ওঠে ঘন কালো
আর সেই অন্ধকার থেকে হঠাৎ বেরিয়ে আসিস তুই
সাইকেল থামিয়ে হেসে বলিস,
"চল, পিছনে বোস, দেরি হয়ে গেল তো!
স্যার পড়ানো শুরু করে দেবে এবার ...
[30/06, 9:40 PM] Tapas: আমার পরিচিতি // অনিন্দ্য পাল
======================
জন্ম ১৯৭৮ সালে। বাস দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার চম্পাহাটি তে। পদার্থবিদ্যায় সাম্মানিক স্নাতক, বি এড। পেশায় হাইস্কুলের শিক্ষক। লেখা লেখি শুরু কলেজের দিনগুলোয় যদিও প্রকাশ অনেক পরে। দেশ, কৃত্তিবাস, আনন্দমেলা, প্রসাদ, কবিতাপাক্ষিক, কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান, বিজ্ঞানভাষ, তথ্যকেন্দ্র, নিউজ বাংলা, উৎসব, অপদার্থের আদ্যক্ষর, শ্রমণ, রা, কল্পবিশ্ব, অনুবাদ পত্রিকা, প্রভৃতি অনেক পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
"সুখবর" পত্রিকায় শতাধিক বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ে প্রবন্ধ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
"তোর মত হলে অন্ধকারকেও ভালোবাসি", "জলরঙের ওড়না " ও "সমুদ্রে রেখেছি সময়" ও " আমি এসেছিলাম " নামে চারটি কাব্যগ্রন্থ আছে।
"ছোট্ট সবুজ মানুষ" প্রকাশিত প্রথম বিজ্ঞান প্রবন্ধের বই।
সাপলুডো নামে একটা পত্রিকার সম্পাদনা করেন।
ঠিকানা*
======
অনিন্দ্য পাল
প্রজত্নে -- বিশ্বনাথ পাল
গ্রাম -- জাফরপুর
পোঃ-- চম্পাহাটিি
পিন - ৭৪৩৩৩০
থানা -- সোনারপুর
জেলা -- দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
Mob: 9163812351
mail-- biltupal2009@gmail.com
No comments:
Post a Comment